মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিএনপি অপকর্ম করতেই ফের অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের
রহমত নিউজ ডেস্ক 03 November, 2023 02:01 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূলহোতা। অপকর্ম করতে তারা আবারও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপি’র কিছু ভাড়া করা লোক আছে, তাদের দলের ভেতরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যাদের দিয়ে বাস পোড়াবে, বাসে আগুন দেবে, ভাঙচুর করবে, এসব অপকর্ম করার জন্য অবরোধ ডাকা হয়েছে।
আজ (৩ নভেম্বর) শুক্রবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা, জাতির প্রধান দুশমন বিএনপি। দলটি যতো খুশি অবরোধ করুক তাতে সরকারের কিছু আসে যায় না। ২৮ তারিখ আবারও প্রমাণ হয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এরাই জাতির প্রধান দুশমন। এ দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে নিরাপদ করতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সেদিন বিএনপি ২৮ জন সাংবাদিকের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করেছিল। কীভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। পার্কিং করা বাসে হেলপার শুয়েছিল, ঘুমন্ত হেলপারকে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে। এসব অপকর্মের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের আটক করা কী দমনমূলক? অপরাধ করলে বিচার হবে না? ২৮ জন সাংবাদিকের ওপর সেদিন যে অত্যাচার করেছে তারা কী দায় এড়াতে পারবে? এটার বিচার হবে না? অপরাধ করলে বিচার হবে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাথা, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিঃশেষ করার চক্রান্ত হয়, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে তারা রেহাই পেয়েছেন। এরপর ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চারজন বিশিষ্ট সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, আমাদের চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।